ভেক্টরের আলোচ্য বিষয়ঃ
আচ্ছা আমি সবাইকে কয়েকটা প্রশ্ন করি। তোমার উচ্চতা কত? তোমার ঘড়িতে কয়টা বাজে? প্রথম প্রশ্নটার উত্তর হবে আমি ‘এত’ মিটার উচু। দ্বিতীয় প্রশ্নটার উত্তর হবে আমার ঘড়িতে ‘এতটা’ বাজে। অর্থাৎ একটা সংখ্যা এবং সেই সংখ্যার পাশে দৈর্ঘ্যের একক লিখে উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা দেয়া যাচ্ছে।একইভাবে সংখ্যা এবং পাশে সময়ের একক লিখে সময় সম্পর্কে ধারণা দেয়া যাচ্ছে।
এবার নিচের চিত্রটার দিকে তাকাই এবং কিছু জিনিস কল্পনা করি। ধরা যাক আমি একটা বনে হারিয়ে গেছি। চিত্রে সবুজ রঙ করা অংশটা হচ্ছে বন-জংগল। বনের চারদিকে নদী বা জলাশয়। জলাশয়কে নীল রং দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। আর একদিকে লোকালয়, যেদিকে গেলে মানুষের দেখা মিলবে। বনের মধ্যে একটা কালো বৃত্ত দেখা যাচ্ছে। ধরা যাক এই বৃত্তের কেন্দ্রের কালো ডট অংশটাতে আমি আছি। আর বিভিন্ন তীর চিহ্ন দিয়ে ঐ ডট অংশ থেকে বিভিন্ন দিকের যাত্রাপথ বোঝানো হয়েছে। আর এই প্রতিটি যাত্রাপথ এক কিলোমিটার করে। এখন বনে হারিয়ে যাবার পর আমার প্রথম কাজ হচ্ছে মানুষের খোঁজ করা। অর্থাৎ যেদিকে গেলে লোকালয়ের দেখা মিলবে সেই দিকটা অনুসন্ধান করা। ধরা যাক কোনো ভাবে আমি জানতে পারলাম আমার অবস্থান থেকে ( ঐ কালো ডট অংশটা থেকে ) এক কিলোমিটারের মধ্যে লোকালয় আছে। আমি যাবার যে কয়েকটা রাস্তা দেখলাম ( তীর চিহ্ন দেয়া রাস্তাগুলো ) সেগুলো দেখেই আমি ধারনা করলাম যে কোনো একদিকে গেলে আমি লোকালয়ে পৌছুতে পারব।
এখন আমার মাথায় ঐ এক কিলোমিটার হিসাবের পর প্রথম যে প্রশ্নটা আসবে সেটা হচ্ছে কোন দিকে এক কিলোমিটার পথ আমাকে যেতে হবে। কিভাবে জানলাম এটা এক কিলোমিটার পথ, কেউ কি বলে দিয়েছে নাকি, কোনো একদিকে হেঁটে নদীর পারে পৌছে তীর ধরে হাঁটলেই তো হয় ইত্যাদি কূটতর্কগুলো সরিয়ে রেখে আপাতত আমি কি বলতে চাইছি সেটা আগে শোনো। লোকালয়ের খোঁজে কোনো একটা পথে যাত্রা শুরু করার আগে আমাকে প্রথমেই জানতে হবে আমি কোন দিকে যাব। অর্থাৎ আমাকে দুরত্বের পাশাপাশি দিক সম্পর্কেও জানতে হচ্ছে। আগের মত ( উচ্চতা কত,এখন কয়টা বাজে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে ) শুধু মান জেনেই আমি সবটুকু জানছি না। আমাকে মানের পাশাপাশি কোন দিকে সেই মান সেটাও জানতে হচ্ছে। আর এখানেই ভেক্টর বা দিক রাশির প্রয়োজনীয়তা। তোমার উচ্চতা কত? তোমার ঘড়িতে কয়টা বাজে? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর হবে অদিক রাশি। কিন্তু বনে হারিয়ে গেছি, কোন দিকে কতটুকু গেলে মানুষের দেখা পাব সেই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে দিক রাশি বা ভেক্টর রাশি।
এখানে খুব সহজ একটা উদাহরণ দিয়ে ভেক্টরের বা দিক রাশির প্রয়োজনীয়তা বোঝানো গেল। ফিজিক্স পড়তে গেলে বার বার এই ভেক্টর রাশি আসবে এবং এই ভেক্টর রাশিগুলো দিয়ে আমাদের নানা হিসাব করতে হবে। ভেক্টর কি, কো-ওর্ডিনেট সিস্টেম, কিভাবে ভেক্টর রাশিকে প্রকাশ করতে হয়, ভেক্টর রাশির দিক কিভাবে হিসাব করে, ভেক্টরের উপাংশ কিভাবে হিসাব করতে হয়, ভেক্টর রাশিগুলো ব্যবহার করে ফিজিক্সে নানা ধরনের গাণিতিক হিসাব কিভাবে করে ইত্যাদি বিষয় আমরা ভেক্টর অধ্যায়টিতে জানব।
আচ্ছা আমি সবাইকে কয়েকটা প্রশ্ন করি। তোমার উচ্চতা কত? তোমার ঘড়িতে কয়টা বাজে? প্রথম প্রশ্নটার উত্তর হবে আমি ‘এত’ মিটার উচু। দ্বিতীয় প্রশ্নটার উত্তর হবে আমার ঘড়িতে ‘এতটা’ বাজে। অর্থাৎ একটা সংখ্যা এবং সেই সংখ্যার পাশে দৈর্ঘ্যের একক লিখে উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা দেয়া যাচ্ছে।একইভাবে সংখ্যা এবং পাশে সময়ের একক লিখে সময় সম্পর্কে ধারণা দেয়া যাচ্ছে।
এবার নিচের চিত্রটার দিকে তাকাই এবং কিছু জিনিস কল্পনা করি। ধরা যাক আমি একটা বনে হারিয়ে গেছি। চিত্রে সবুজ রঙ করা অংশটা হচ্ছে বন-জংগল। বনের চারদিকে নদী বা জলাশয়। জলাশয়কে নীল রং দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। আর একদিকে লোকালয়, যেদিকে গেলে মানুষের দেখা মিলবে। বনের মধ্যে একটা কালো বৃত্ত দেখা যাচ্ছে। ধরা যাক এই বৃত্তের কেন্দ্রের কালো ডট অংশটাতে আমি আছি। আর বিভিন্ন তীর চিহ্ন দিয়ে ঐ ডট অংশ থেকে বিভিন্ন দিকের যাত্রাপথ বোঝানো হয়েছে। আর এই প্রতিটি যাত্রাপথ এক কিলোমিটার করে। এখন বনে হারিয়ে যাবার পর আমার প্রথম কাজ হচ্ছে মানুষের খোঁজ করা। অর্থাৎ যেদিকে গেলে লোকালয়ের দেখা মিলবে সেই দিকটা অনুসন্ধান করা। ধরা যাক কোনো ভাবে আমি জানতে পারলাম আমার অবস্থান থেকে ( ঐ কালো ডট অংশটা থেকে ) এক কিলোমিটারের মধ্যে লোকালয় আছে। আমি যাবার যে কয়েকটা রাস্তা দেখলাম ( তীর চিহ্ন দেয়া রাস্তাগুলো ) সেগুলো দেখেই আমি ধারনা করলাম যে কোনো একদিকে গেলে আমি লোকালয়ে পৌছুতে পারব।
এখন আমার মাথায় ঐ এক কিলোমিটার হিসাবের পর প্রথম যে প্রশ্নটা আসবে সেটা হচ্ছে কোন দিকে এক কিলোমিটার পথ আমাকে যেতে হবে। কিভাবে জানলাম এটা এক কিলোমিটার পথ, কেউ কি বলে দিয়েছে নাকি, কোনো একদিকে হেঁটে নদীর পারে পৌছে তীর ধরে হাঁটলেই তো হয় ইত্যাদি কূটতর্কগুলো সরিয়ে রেখে আপাতত আমি কি বলতে চাইছি সেটা আগে শোনো। লোকালয়ের খোঁজে কোনো একটা পথে যাত্রা শুরু করার আগে আমাকে প্রথমেই জানতে হবে আমি কোন দিকে যাব। অর্থাৎ আমাকে দুরত্বের পাশাপাশি দিক সম্পর্কেও জানতে হচ্ছে। আগের মত ( উচ্চতা কত,এখন কয়টা বাজে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে ) শুধু মান জেনেই আমি সবটুকু জানছি না। আমাকে মানের পাশাপাশি কোন দিকে সেই মান সেটাও জানতে হচ্ছে। আর এখানেই ভেক্টর বা দিক রাশির প্রয়োজনীয়তা। তোমার উচ্চতা কত? তোমার ঘড়িতে কয়টা বাজে? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর হবে অদিক রাশি। কিন্তু বনে হারিয়ে গেছি, কোন দিকে কতটুকু গেলে মানুষের দেখা পাব সেই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে দিক রাশি বা ভেক্টর রাশি।
এখানে খুব সহজ একটা উদাহরণ দিয়ে ভেক্টরের বা দিক রাশির প্রয়োজনীয়তা বোঝানো গেল। ফিজিক্স পড়তে গেলে বার বার এই ভেক্টর রাশি আসবে এবং এই ভেক্টর রাশিগুলো দিয়ে আমাদের নানা হিসাব করতে হবে। ভেক্টর কি, কো-ওর্ডিনেট সিস্টেম, কিভাবে ভেক্টর রাশিকে প্রকাশ করতে হয়, ভেক্টর রাশির দিক কিভাবে হিসাব করে, ভেক্টরের উপাংশ কিভাবে হিসাব করতে হয়, ভেক্টর রাশিগুলো ব্যবহার করে ফিজিক্সে নানা ধরনের গাণিতিক হিসাব কিভাবে করে ইত্যাদি বিষয় আমরা ভেক্টর অধ্যায়টিতে জানব।
0 মন্তব্য(গুলি) to ভেক্টরের আলোচ্য বিষয়ঃ