প্রশ্ন: ক. ইমবাইবিশন কী?
প্রশ্ন: খ. রসস্ফীতি চাপ বলতে কী বোঝায়?
প্রশ্ন: গ. আশরাফর পর্যবেক্ষণকৃত প্রথম ঘটনাটির কারণ ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্ন: ঘ. তূর্যের পর্যবেক্ষণকৃত দ্বিতীয় ঘটনাটির সঙ্গে উদ্ভিদের জীবনে সংশ্লিষ্ট শারীরবৃত্তীয় ভূমিকার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: ক. ইমবাইবিশন: কলয়েড জাতীয় শুকনো বা অর্ধ শুকনো পদার্থের তরল পদার্থ শোষণের বিশেষ প্রক্রিয়াকে ইমবাইবিশন বলা হয়।
উত্তর: খ. অন্ত: অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কোষ অভ্যন্তরে পানি প্রবেশের ফলে কোষ স্ফীত হয়। কোষের এই স্ফীতি অবস্থাকে রসস্ফীতি বলে।
রসস্ফীতির জন্য কোষের প্রোটোপ্লাজম কর্তৃক কোষপ্রাচীরের ওপর যে চাপের সৃষ্টি হয় তাকে রসস্ফতি চাপ বলা হয়।
উত্তর: গ.
তূর্য সবজি বিক্রেতাকে সবজিতে পানি ছিটানো প্রত্যক্ষ করল। অভিস্রবণ
প্রক্রিয়ায় সবজির ভেতরে পানি প্রবেশ করে। যে প্রক্রিয়ায় একটি বৈষম্যভেদ্য
ঝিল্লির মধ্য দিয়ে হালকা ঘনত্বের দ্রবণ হতে পানি (দ্রাবক) অধিক ঘন দ্রবণের
দিকে প্রবাহিত হয় তাকে অভিস্রবণ বলে। এখানে সবজির ভেতরের কোষগুলো
বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি হিসেবে কাজ করে থাকে। সবজির ভেতরে থাকে ঘন কোষ রস আর
বিক্রেতা যে পানি ছিটায় সে পানির ঘনত্ব কম থাকে। তাই অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায়
সবজির ভেতরে পানি প্রবেশ করে। ফলে সবজির সজীবতা অক্ষুণ্ন থাকে। এতে
বিক্রেতা আর্থিকভাবে লাভবান হয়। এ জন্য বিক্রেতা সবজিতে পানি ছিটায়।
উত্তর: ঘ.
তূর্যের পর্যবেক্ষণকৃত দ্বিতীয় ঘটনাটি প্রস্বেদনের কারণে হয়েছে। যে
প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ পাতা ও অন্যান্য বায়বীয় অঙ্গ হতে বাষ্পাকারে পানি নির্গত
করে তাকে প্রস্বেদন বলে। প্রস্বেদন প্রক্রিয়া উদ্ভিদের জীবনে বিশেষ
গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. পানি ও খাদ্যরস ওপরে উঠানো:
প্রস্বেদনের ফলে জাইলেম টিস্যুর ভেসেল নালিকার পানি স্তম্ভে যে টান পড়ে তার
ফলেই মূল দিয়ে শোষিত পানি ও খাদ্যরস ওপরে উঠে আসে।
২. পাতায় পানি ও খনিজ লবণ পৌঁছানো: পাতায়
সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় পানি, ক্লোরোফিল অণু গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়
Mg পৌঁছানোর কাজটিও করে থাকে প্রস্বেদন প্রক্রিয়া।
৩. পাতায় উপযুক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণ ও শক্তি
নির্গমন: পাতা সূর্য হতে প্রতি মিনিটে প্রচুর শক্তি শোষণ করে। এর মাত্র
শতকরা এক ভাগ বিভিন্ন বিক্রিয়ায় খরচ হয়। বাকি তাপশক্তি প্রস্বেদনের মাধ্যমে
বের হয়ে যায়।
৪. কোষ বিভাজন ও দৈহিক বৃদ্ধি: প্রস্বেদন
প্রক্রিয়া পরোক্ষভাবে অভিস্রবণ প্রক্রিয়া চালু রাখে এবং সব কোষকে স্ফীত
অবস্থায় রাখে। এর ফলে কোষ বিভাজন এবং অঙ্গের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
৫. পাতায় ছত্রাক আক্রমণ রোধ: প্রস্বেদনের
ফলে পাতার পৃষ্ঠে কিছু পানিগ্রাহী লবণ জমা হয়। এর ফলে পাতা বিভিন্ন ছত্রাক
আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
৬. সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় CO2
শোষণ: সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় CO2 পাতার স্পঞ্জি মেসোফিল কোষ
ব্যাপনের মাধ্যমে বায়ুকুঠুরির বায়ু থেকে গ্রহণ করে। এ জন্য স্পঞ্জি মেসোফিল
কোষের বহিঃপৃষ্ঠ সব সময় ভেজা থাকতে হয়। এখান থেকে পানি গ্রহণ করে
বায়ুকুঠুরির বায়ু পত্ররন্ধ্রের মধ্য দিয়ে বের হয়ে প্রস্বেদন ঘটায়।
সুতরাং তূর্যের পর্যবেক্ষণকৃত দ্বিতীয় ঘটনাটি (প্রস্বেদন) উদ্ভিদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
0 মন্তব্য(গুলি) to আশরাফ বাজারে গিয়ে লক্ষ করল, বিক্রেতারা সবজিতে পানি ছিটাচ্ছে। কিছু সবজি কিনে পলিথিন ব্যাগে বাসায় নিয়ে দেখল পলিথিন ব্যাগের নিচে পানি জমে আছে। ব্যাপারটি তাকে কৌতূহলী করে তুলল।