রাসায়নিক গণনা

Posted by Md. Mamunur Rashid On 0 মন্তব্য(গুলি)


রাসায়নিক গণনা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সংজ্ঞা:
  • যৌগের যে কোন মৌলের শতকরা পরিমাণ =
  • 1 amn = 1.66056×10-24g
  • স্থূল সংকেত যৌগের অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণু সংখ্যার ক্ষুদ্রতম অনুপাত প্রকাশ করে
  • আণবিক সংকেত = স্থূল সংকেত
  • অ্যাভোগ্যাড্রোর সংখ্যা, N = 6.023×1023


  • মোল ভগ্নাংশ : দ্রবণের কোন উপাদানের মোল সংখ্যা ও দ্রবণে বিদ্যমান সব উপাদানের মোল সংখ্যার যোগফলের অনুপাতকে সে উপাদানের মোল ভগ্নাংশ বলা হয়

  • স্থূল সংকেত : কোন যৌগের অণুতে কোন কোন মৌল আছে এবং সে সব মৌলের পরমাণুসমূহের সংখ্যা কি ক্ষুদ্রতম পূর্ণসংখ্যার অনুপাতে আছে, তার সংক্ষিপ্ত প্রকাশকে ঐ যৌগের স্থূল সংকেত বলে

  • আণবিক সংকেত : কোন যৌগের অণুতে কোন কোন মৌল আছে এবং প্রতিটি মৌলের পরমাণুসমূহের প্রকৃত সংখ্যা কত তার সংক্ষিপ্ত প্রকাশকে ঐ যৌগের আণবিক সংকেত বলে

  • মোল : কোন যৌগের আণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় সে পরিমাণকে তার এক মোল বলে

  • গ্রাম পারমাণবিক ভর : কোন মৌলের পারমাণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায়, সে পরিমাণকে তার এক গ্রাম-পারমাণবিক ভর বলা হয়; আধুনিক নিয়মে একেও এক মোল পরমাণু বলা হয়

  • অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা : কোন বস্তুর এক মোল পরিমাণে যত সংখ্যক অণু থাকে, সেই সংখ্যাকে অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা বলে। একে দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর মান হচ্ছে 6.023×1023

  • মোলার দ্রবণ : কোন দ্রবণের প্রতি লিটারে দ্রব দ্রবীভূত থাকলে তাকে মোলার দ্রবণ বলে

  • মোলারিটি দ্রবণ : কোন দ্রবণের প্রতি লিটারে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে ঐ দ্রবণের মোলারিটি বলে

  • মোলালিটি : প্রতি দ্রাবকে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলালিটি বলে

  • টাইট্রেশন বা অনুমাপন : উপযুক্ত নির্দেশকের উপস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট আয়তনের কোন পরীক্ষাধীন দ্রবণের সাথে একটি প্রমাণ দ্রবণের মাত্রিক বিক্রিয়া সংঘটিত করে প্রমাণ দ্রবণের তুল্য আয়তন নির্ণয়ের মাধ্যমে পরীক্ষাধীন দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের পদ্ধতিকে টাইট্রেশন বা অনুমাপন বলে

  • দ্রবণের মোলারিটি এবং নরমালিটি তাপমাত্রা দ্বারা প্রভাবিত হয় কিন্তু মোলারিটি ক্ষেত্রে তাপমাত্রার কোন প্রভাব নেই
  • অম্ল ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়ায় সমান আয়তনে এক ক্ষারকীয় অম্লের 1.0 মোলার ও এক অম্লীয় ক্ষারকের 1.0 মোলার দ্রবণ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ :
১. বিশুদ্ধ অবস্থায় নির্দিষ্ট সংযুক্তিতে পাওয়া যায়
২. নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজন করে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায়
৩. পানিত্যাগী, পানিগ্রাহী ও পানিগ্রাসী নয়
৪. দ্রবণের মাত্রা অনেকদিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকে
৫. বায়ুর জলীয় বাষ্প ও জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় না
উদাহরণ- অনার্দ্র সোডিয়াম কার্বনেট (Na2CO3), K2Cr2O7, আর্দ্র অক্সালিক এসিড (H7C7O4.2H2O), সোডিয়াম অক্সালেট, সাকসিনিক এসিড

সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ :
১. এদের বিশুদ্ধ অবস্থায় ও নির্দিষ্ট সংযুক্তিতে পাওয়া যায় না
২. কোনটি পানিগ্রাহী বা পানিত্যাগী
৩. গ্যাস শোষণ করে
৪. জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়
৫. রাসায়নিক নিক্তিতে সঠিক ওজন নিয়ে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা সম্ভব নয়
৬. এদের দ্রবণের মাত্রা পরিবর্তিত হয়
উদাহরণ- H2SO4, NaOH, KOH, Na2S2O3, KMnO4, HCl

অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা ও মোলার আয়তনের গুরুত্ব :
1 মোল অণু = 1 গ্রাম আণবিক ভর = 22.4 dm3 (N.T.P তে) = 6.023×1023 টি অণু
1 টি অণুর ভর =  gm
1 গ্রাম গ্যাসে অণুর সংখ্যা =  টি
1 গ্রাম গ্যাসের N.T.Pতে আয়তন =  dm3
1 টি অণুর N.T.Pতে আয়তন =  dm3
N.T.Pতে dm3 গ্যাসের অণুর সংখ্যা =  টি
মৌলের একটি পরমাণুর ভর =  gm

ঘনমাত্রার মান অনুসারে দ্রবণের বিভিন্ন নাম হয়। যেমন-
1 dm3 দ্রবণে দ্রবীভূত
দ্রবের পরিমাণ (মোল)
দ্রবণের ঘনমাত্রা
দ্রবণের নাম
1.0
1.0M
মোলার দ্রবণ
0.5
0.5M বা M/2
সেমি মোলার দ্রবণ
0.1
0.1M বা M/10
ডেসি মোলার দ্রবণ
0.01
0.01 বা M/100
সেন্টি মোলার দ্রবণ


মোলারিটি নির্ণয়ের সূত্র :
aMBVB = bMAVA
VA = এসিডের আয়তন
MA = এসিডের মোলারিটি
VB = ক্ষারের আয়তন
MB = ক্ষারের মোলারিটি
b = ক্ষারের সহগ
a = এসিডের সহগ
যখন এসিড ও ক্ষার উল্লেখ থাকবে না বা যে কোন একটি উল্লেখ থাকবে, তখন সূত্রটি হবে-
V1S1 = V2S2

  • প্রশমন বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষারের সমতুল্য পরিমাণে বিক্রিয়া করে
  • 5% NaOH দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ
  • শক্তিশালী এসিড ও শক্তিশালী ক্ষারের টাইট্রেশন যে কোন নির্দেশক ব্যবহার করা যায়
  • শক্তিশালী এসিড ও দুর্বল ক্ষারের টাইট্রেশনে মিথাইল অরেঞ্জ উত্তম নির্দেশক
  • দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী ক্ষারের টাইট্রেশনে উত্তম নির্দেশক ফেনলফথ্যালিন
  • প্রমাণ দ্রবণকে যে অজ্ঞাত ঘনমাত্রার দ্রবণের মধ্যে যোগ করা হয় তাকে ট্রাইট্রেট বলে
  • রক্ত একটি বাফার দ্রবণ এবং এটিতে মূল বাফার HCO3 এছাড়াও PO43- ব্যবহৃত হয়


কিছু মৌলের পারমাণবিক ভর : (গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য পারমাণবিক ভর ।অবশ্যই মুখস্ত রাখতে হবে ।)


মৌল
পারমাণবিক ভর
হাইড্রোজেন
1H
1
কার্বন
6C
12
নাইট্রোজেন
7N
14
অক্সিজেন
8O
16
ফ্লোরিন
9F
19
সোডিয়াম
11Na
23
ম্যাগনেসিয়াম
12Mg
24
অ্যালুমিনিয়াম
13Al
27
সিলিকন
14Si
28
ফসফরাস
15P
31
সালফার
16S
32
ক্লোরিন
17Cl
35.5
পটাশিয়াম
19K
39.1
ক্যালসিয়াম
20Ca
40
ক্রোমিয়াম
24Cr
52
ম্যাঙ্গানিজ
25Mn
55
আয়রন
26Fe
55.85
নিকেল
28Ni
58.69
কপার
29Cu
63.5
জিংক
30Zn
65.38
সিলভার
47Ag
107.88
মার্কারি
80Hg
200
গোল্ড
79Au
197

কিছু প্রয়োজনীয় সূত্র :
এসিডের তুল্য ভর =
ক্ষারের তুল্য ভর =

লবণের তুল্য ভর =

প্রতি লিটার দ্রবের গ্রাম হিসেবে ভর = নরমালিটি × দ্রবের তুল্য ভর
1cm3 = 1ml = 1
1000cm3 = 1dm3 = 1L
1000dm3 = 1m3


সংখ্যা বিষয়ক কিছু তথ্য :
40cm3 (M/2) H2SO4 ≡ 20cm3 1(M)H2SO4
35cm3 2(M)H2SO4 ≡ 70cm3 1(M)H2SO4
60cm3 (M/10)NaOH ≡ 6cm3 1(M) NaOH
700ml 0.7(M)HCl ≡ 490ml 1(M) HCl

Note : এই অধ্যায় থেকে সাধারণত গাণিতিক সমস্যা বেশি আসে, এই জন্য গাণিতিক সমস্যাগুলোর সাথে সাথে সংখ্যা বিষয়ক তথ্যগুলো বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে । এছাড়া প্রাইমারী ও সেকেন্ডারী পদার্থের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ।

0 মন্তব্য(গুলি) to রাসায়নিক গণনা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Ads

Social Icons

Featured Posts